তফসিলের আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে পুনরায় বৈঠকে নির্বাচন কমিশন

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও কৌশল চূড়ান্ত করতে আবারও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল ঘোষণার আগে অনুষ্ঠিত এ বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, স্বরাষ্ট্র সচিব, ইসি সচিব, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, সশস্ত্র বাহিনী ও আনসার-ভিডিপিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ইসি সূত্র জানায়, ভোটের আগে, চলাকালীন ও পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কী ধরনের বাহিনী মোতায়েন করা হবে, কতদিন মাঠে থাকবে এবং প্রতিটি কেন্দ্রে কতজন নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করবে—এসব বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে আজকের বৈঠকে। তফসিল ঘোষণার প্রাক্কালে নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতেই এ বৈঠক।

ইসির পূর্ববর্তী প্রাক-প্রস্তুতিমূলক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০ অক্টোবর। সেই বৈঠকে ভোটের আগে ও পরে মোট আটদিন নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব আসে। এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩ থেকে ১৮ জন নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, নির্বাচনী দায়িত্বে এবার ৭ লাখের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে আনসার-ভিডিপির সদস্যই থাকবেন প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা থাকবে ৯০ হাজারের বেশি। এছাড়া পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডও মাঠে কাজ করবে।

নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা বা কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইসি। তফসিল ঘোষণার আগেই নিরাপত্তা প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

বাংলাধারা/এসআর