ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

টিকে থাকার শেষ লড়াই আজ

স্পোর্টস্ ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ১১:০৫ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

জীবন যেমন দুঃখ দেয়, তেমনি আশার আলোও দেখায়। কয়েক দিন আগেই হাসিখুশি তাওহীদ হৃদয় আজ বিষণ্নতায় ডুবে আছেন লঙ্কার কাছে হারের পর। মন ভালো করার জন্য সতীর্থ জাকের-সোহানরা তাঁকে ঘুরতেও নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সমর্থকদের আস্থা অর্জনে তাঁর কষ্ট যেন আরও বেড়েছে। তাই আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে চার নম্বরে দেখা যেতে পারে সাইফ হাসানকে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রিশাদের পরিবর্তে নাসুম আহমেদকেও একাদশে রাখার সম্ভাবনা আছে।

স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ আশার বাণী শোনালেন ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে। তাঁর ভাষায়, ‘সুপার ফোরে যাওয়ার বিশ্বাস রাখতে হবে। দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভেতরে সেই বিশ্বাস আছে যে আফগানিস্তানকে তারা হারাতে পারবে।’ তবে বাস্তবতাও অস্বীকার করেননি মুশতাক। আফগানদের স্পিন আক্রমণ, বিশেষ করে মিডল ওভার, যে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে, তা খোলাখুলিভাবেই স্বীকার করেছেন তিনি।

এখন পর্যন্ত আবুধাবিতে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। আট ম্যাচের সবকটিতেই হার! তাই আজকের ম্যাচে জয় পাওয়া মানে শুধু প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা নয়, মানসিক বাধা ভাঙাও বটে। অন্যদিকে আবুধাবিই এখন আফগানিস্তানের ‘হোম ভেন্যু’। সম্প্রতি তারা পাঁচ বছরের জন্য আবুধাবি স্পোর্টস হাবকে নিজেদের ঘর বানিয়েছে। যদিও এশিয়া কাপে আফগান দলটি অবস্থান করছে দুবাইয়ে। সংবাদ সম্মেলনও হয়েছে সেখানেই।

আফগান কোচ জনাথন ট্রট আজকের ম্যাচ নিয়ে দ্বিধাহীন। তাঁর মতে, ‘বাংলাদেশ দলে ম্যাচ জেতার মতো অনেক ক্রিকেটার আছে। কিন্তু আমরাই জিতব।’ প্রায় এক সপ্তাহের বিশ্রাম যে আফগানদের এগিয়ে রেখেছে, সেটিও অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি।

এখন পর্যন্ত দুই দলের ১১ মুখোমুখিতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৫ বার, হেরেছে ৬ বার। সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল গত বছরের টি২০ বিশ্বকাপে। তখন ১১১ রানে আফগানদের আটকে দিলেও রশিদ খানের বিধ্বংসী বোলিংয়ে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও সেই রশিদ আতঙ্কই সবচেয়ে বড় ভয়।

বাংলাদেশের পেস আক্রমণ আফগানদের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও স্পিনে পিছিয়ে। মিডল অর্ডারে দুই দলের অবস্থান প্রায় সমান। তবে আফগানিস্তানের টপ অর্ডারে গুরবাজ-জাদরানকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে পারলে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে লিটনদের। কিন্তু আফগান দলটি অলরাউন্ডারে ভরপুর, নবী, ওমরজাই, জানাত আর রশিদ খান একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন।

এমন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েও আশাবাদী মুশতাক। তিনি মনে করিয়ে দিলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে পরিস্থিতি থেকে দল ১৪০ রানের কাছে চলে গিয়েছিল, আফগানদের বিপক্ষে আরও ভালো কিছু আশা করতেই পারি।’ তাঁর মতে, আবুধাবিতে ১৬০-১৭০ রানের ইনিংস ম্যাচে জোর টক্কর গড়ে তুলতে যথেষ্ট।

এখন সমীকরণও স্পষ্ট আজ বাংলাদেশ জিতলেই আর কোনো ‘যদি-কিন্তু’র হিসাব থাকবে না। তবে হেরে গেলে হয়তো কালই লিটনদের ঢাকামুখী ফ্লাইট ধরতে হবে।

বাংলাধারা/এসআর